agriculture and microfinance

Agriculture and Microfinance - Bangla Notes

Agriculture & Microfinance

 

বাংলাদেশের কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (Effect of Climate Change in Agriculture Sector of Bangladesh):

১. অস্থিতিশীল/অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত         2. বন্যা               ৩. অনাবৃষ্টি              ৪. সমূদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি

৫. তাপমাত্রা বৃদ্ধি            ৬. মাটির উর্বরতা হ্রাস ৭. ভুগর্ভস্ত পানির স্তর হ্রাস     

৮. নদী ভাঙন                             . বন সম্পদ হ্রাস

 

জলবায়ু বান্ধব কৃষি ও বাংলাদেশে এর গুরুত্ব (Climate-smart agriculture and its importance for Bangladesh):

জলবায়ু বান্ধব কৃষি হল কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা এবং খাদ্যর মূল্য শৃঙ্খলকে রূপান্তরিত ও পুনর্বিন্যা করার একটি পন্থা যা টেকসই উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন্যভাবেলা যায় যে, কৃষি উৎপাদনশীলতার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবকে প্রতিরোধ করে এমন একটি সার্বিক কৌশল বা পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি জমি, ফসল, গবাদিপশু এবং বন ব্যবস্থাপনার নাম জলবায়ু বান্ধব কৃষি।

জলবায়ু বান্ধব কৃষি দ্ধতি সার্বজনীনভাবে প্রয়োগ করা যায় না, বরং এটি এমন একটি পদ্ধতি যা পরিবেশ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন উপাদানকে জড়িত করে এবং স্থানীয় চাহিদা মেটানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়। জলবায়ু বান্ধব কৃষি বাস্তুসংস্থান, টেকসই ভূমি ও অন বাবস্থাপনা, জমির গঠন বিশ্লেষণ, কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থায় সম্পদ ও শক্তির ব্যবহারের মূল্যায়নের নীতিমালা ব্যবহার করে টেকসই কৃষি পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সাধারণত কৃষি খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়, তাই এসব দেশে জলবায়ু বান্ধব কৃষি বিশেষভাবে ভাৎপর্যপূর্ণ

জলবায়ু বান্ধব কৃষির গুরুত্ব:

১) মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি:           ২. সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থানা                     (৩) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা 

৪) ফসল হানির ঝুঁকি হ্রাস:      ৫) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা         ৬) টেকসই ভুমি বাবস্থানা।

৭) কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও প্রশমন: কৃষি খাতে রক্ষণশীল চাষ, আচ্ছাদন শস্য রোপণ, গ্রামীণ এলাকায় সুপরিকল্পিত জৈব কয়লার ব্যবহার, সুনির্দিষ্ট মাত্রার জৈব সার প্রয়োগ ইত্যাদি জলবায়ু বান্ধব চাষ পদ্ধতি গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে ভুমিকা রাখে।

৮) খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা: অর্গানিক বা জৈব পদ্ধতিতে চাষ এবং সমন্বিত বালাই নাশক (আইপিএম) ক্ষতিকারক রাসায়নিক প্রযোগের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে, যা একটি সুষম জৈবিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

) কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: জলবায়ু বান্ধব কৃষি পদ্ধতি জল, সার এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণের কাম্য মাত্রায় ব্যাবহার করে ফসলের ফলন বাড়ায়। এবং

১০। দূষণ এবং অন্যানা পরিবেশগত ঝুঁকি হ্রা: জলবায়ু বান্ধব কৃষি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতির উপর নির্ভর করে পরিবেশের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। রক্ষণশীল চাষ মাটির ক্ষয় রোধ, জমির উর্বরতা রক্ষা করতে এবং স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।

বাংলাদেশের কৃষি খাতে ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জসমূহ (Emerging challenges in Agriculture):

১. জলবায়ু পরিবর্তন      ২. জনসাধারণের কৃষি বিমুখতা                ৩. কৃষি বাজারে অব্যবস্থাপনা

৪. অপর্যাপ্ত প্রযুক্তি জ্ঞান      ৫. কৃষিঋণের অভাব  ৬. কৃষি পণ্যের অন্যায্য মূল্য

৭. ভুমির অভা                   ৮. কৃষি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে সংকট   ) তথ্যে প্রবেশাধিকারে সীমাবদ্ধতা

 

কৃষি খাতে ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাংকের ভূমিকা/পদক্ষেপ (Response of Bank to face Emerging challenge in Agriculture):

১. ডিজিটাল আর্থিক সেবা     ২. প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি বিনিয়োগ               ৩. জলবায়ু বান্ধব অর্থায়ন

৪. ইমপ্যাক্ট বিনিয়োগ    ৫. মূল্য শৃঙ্খল সহায়ক অর্থায়ন    ৬ মিশ্র কৃষি              . টেকসই অর্থায়ন

.পাত্ত নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ       ৮. পরিবেশ ও সামাজিক সুশাসনের সমন্বয় (ESG)

 ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কৃষিণ বিতরণে মস্যা (Problems of Agro-Finance):

. দীর্ঘমেয়াদী দাপ্তরিক প্রক্রিয়া                 ২. ব্যাংকগুলোর শহরমুখীতা              

৩. পল্লী অঞ্চলে সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রম      ৪. কৃষকের জামানতের অভা 

৫. প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের ঋন বহির্ভুত উচ্চ ব্যয়: ব্যাংকে আসা যাওয়ার পরিবহন ব্যয়,

৬. যথাসমযে ঋন বিতরণে ত্রুটি: শ্রম ব্যয়, অন্যান্য আনুসঙ্গিক ব্যয়      ৭. ব্যবসার উচ্চ ব্যয় (ব্যাংকের)

৮. ঝুঁকি হ্রাস কৌশলের অভাবঃ (প্রকৃতি নির্ভর চাষাবাদ, ঝুঁকি বীমা নেই)

৯. প্রণোদনার অভাব: (সুদ মওকুফ, ঋণ পুনর্গঠন)

১০. প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার ঘাটতি: বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো সচ্ছল নয়, সরকারি তহবিল সমূহ পরিচালন ব্যয় নির্বাহ খরচ হয়।

 

কৃষি-ভিত্তিক প্রকল্পে অর্থায়ন (Agro-based project):

কৃষি-ভিত্তিক প্রকল্প বলতে সেইসকল প্রকল্পকে বুঝায় যা কৃষি পণ্যকে খাদ্য সামগ্রী, পশু খাদ্য, তন্তু, জ্বালানী বা শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য প্রক্রিয়া করে তাই কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের পরিধি ফসল কাটার পর্যায় থেকে উপাদানটি সর্বশেষ ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত পছন্দসই আকার, প্যাকেজিং, পরিমাণ, গুণমান এবং মূল্যে রূপদান সংক্রান্ত সমস্ত ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত

কৃষি উন্নয়নে  কৃষিভিত্তিক প্রকল্পে অর্থায়নের গুরুত্ব (Importance of  Agro-based Project Financing for Agricultural Development):

মূলধনের যোগান: এটি বড় আকারের কৃষি প্রকল্পগুলিকে তাদের অবকাঠামো, প্রযুক্তি এবং পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন যোগান দিতে সক্ষম করে

খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়ক: বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এটি খাদ্য নিরাপত্তা এবং মানব জাতির বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ

কৃষকদের ক্ষমতায়ন: এটি দরিদ্র কৃষকদের তাদের সম্পদ বাড়াতে সাহায্য করে

খাদ্য মূল্য শৃঙ্খলের উন্নতি(Food value chains): এটি বিশ্বের জনসংখ্যাকে খাওয়ানোর জন্য খাদ্য মূল্য চেইন বিকাশে সহায়তা করে

টেকসই কৃষিতে সহায়তা: এটি টেকসই কৃষিকে সমর্থন করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং সবুজ বিনিয়োগ সমর্থন করে

কর্মসংস্থান সৃষ্টি: বাংলাদেশে শুধুমাত্র কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রায় ২৫0,000 মানুষের কর্মসংস্থান করে

জিডিতে অবদান: কৃষিভিত্তিক শিল্প জাতীয় আয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি করে জিডিপিতে প্রায় . শতাংশ অবদান রাখে

এছাড়া

কৃষি ভিত্তিক শিল্পের বিকাশ:       কৃষি পণ্যের বাজার সৃষ্টি:          বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন:

পণ্যের বহুমুখীকরণ বা বৈচিত্র সাধন:           অপ্রচলিত কৃষি পণ্য জনপ্রিয়করণ:

অর্থনৈতিক গতিশীলতা: ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ ….

 

কৃষি ঋণ বিতরণ/প্রদানের প্রক্রিয়া (procedures of agricultural financing):

ঋণ দান প্রক্রিয়া নিম্নলিখিত তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত:

i) প্রাথমিক যোগাযোগ: নতুন গ্রাহককে চিহ্নিত করা

ii) ঋণ বিশ্লেষণ: গ্রাহক তথ্য এবং ক্রেডিট ইতিহাস বিশ্লেষণ

iii) ঋণ অনুমোদন: ঋণের অনুমোদন এবং বিতরণ

 

প্রাথমিক যোগাযোগ: নতুন গ্রাহক সনাক্তকরণ

1) ঋণ কর্মকর্তার সাথে প্রথম গ্রাহকের যোগাযোগ এবং যাচাই বাছাই

2) তথ্য বিনিময়- ঋণ কর্মকর্তা সম্ভাব্য গ্রাহককে ব্যাংকের বিদ্যমান কৃষি পণ্য সম্পর্কে অবহিত করেন

3) যদি ঋণ কর্মকর্তা মনে করেন যে গ্রাহকের একটি উপযুক্ত প্রকল্প আছে, তাহলে তিনি গ্রাহককে কৃষি ঋণের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে সহায়তা করেন

4) ঋণ কর্মকর্তা গ্রাহকের নামে একটি ফাইল খোলেন

5) ঋণের আবেদন সম্পূর্ণ করার পর, ঋণগ্রহীতা ঋণ কর্মকর্তাকে তার নথিপত্র দেন

6) ঋণ কর্মকর্তা ঋণের মূল্যায়ন সম্পূর্ণ করার জন্য আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে সাইটে গ্রাহকের সাথে দেখা করার জন্য একটি দিন নির্ধারণ করে

7) যাচাইকরণ কর্মকর্তা যথাযথ নিষ্ঠার সাথে সমস্ত নথি এবং জমির রেকর্ডপত্র সাবধানে যাচাই করেন

8) যাচাই প্রক্রিয়া সন্তোষজনক হলে ঋণ প্রস্তাবটি পরবর্তী পর্যায়ে প্রক্রিয়া করা হয়

 

ঋণ বিশ্লেষণ: গ্রাহক তথ্য এবং ক্রেডিট ইতিহাস বিশ্লেষণ

দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্লায়েন্টের তথ্য এবং ক্রেডিট ইতিহাস বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হয়

9) ভেরিফিকেশন অফিসার যথাযথ নিষ্ঠার সাথে সরবরাহকারীর রেফারেন্স যাচাই করেন যেখানে সম্ভব গ্রাহক গ্রাহকের ব্যাঙ্ক রেকর্ড, সেইসাথে বাজারের প্রতিযোগী, নগদ প্রবাহ ইত্যাদি পরীক্ষা করেন

10) শাখা ব্যবস্থাপক ঋণ প্রস্তাবটি পর্যালোচনা এবং কৃষি ঋণ কমিটিতে জমা দেওয়ার জন্য অনুমোদন প্রদান করেন

 

ঋণ অনুমোদন: ঋণের অনুমোদন এবং বিতরণ

তৃতীয় ধাপে, ক্রেডিট কমিটি হয় ঋণ মঞ্জুরী বিতরণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে অথবা প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করবে

11) ঋণ কর্মকর্তা ক্রেডিট কমিটির কাছে ঋণের আবেদন জমা দেন

12) অনুমোদিত হলে, কমিটি ঋণ অনুমোদন ফর্মে স্বাক্ষর করে; প্রত্যাখ্যাত হলে গ্রাহককে প্রসতাবের ঘাটতির একটি তালিকা প্রদান করা হয় এবং এগুলি সমাধান করে পুনরায় জমা দিতে বলা হয়

13) ঋণ কর্মকর্তা গ্রাহককে ঋণের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করেন

14) ঋণ কর্মকর্তা শর্ত পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ডকুমেন্ট সম্পন্ন করার অনুরোধ করেন

15) বড় আকারের ঋণের ক্ষেত্রে, অপারেশন অফিসার বন্ধকী সম্পত্তি স্থানীয় সরকারের নিবন্ধন এবং বীমার ব্যবস্থা করেন

16) অপারেশন অফিসার ক্রেডিট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঋণ/জামানতের চুক্তি প্রস্তুত করে এবং ঋণ বিতরণের সকল শর্ত পূরণ করা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত করেন

17) লোন অফিসার ঋণের অর্থ বিতরণের জন্য গ্রাহককে শাখায় আমন্ত্রণ জানান

18) অপারেশন অফিসার ঋণ বিতরণের পূরণীয় সকল শর্ত অনুসরণ করে

19) গ্রাহকক এবং গ্যারান্টর সকল ডকুমেন্টেশন স্বাক্ষর করেন

20) লোন অফিসার গ্রাহককে ঋণ পরিশোধের সময়সূচী প্রদান করে টেলারের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করে

 

কৃষিভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা -supports of Bangladesh Bank under refinance scheme to agro-based project financing:

গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব উৎস থেকে "গ্রামীণ ভিত্তিক কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প" নামে একটি বিশেষ ঋণ কর্মসূচি চালু করেছে মাঠ পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের কারণে এবং ব্যাংকগুলি থেকে ক্রমবর্ধমান পুনঃঅর্থায়নের আবেদনের জন্য ডিসেম্বর 2012 সালে এই তহবিলটি 200 কোটি টাকা করা হয়েছিল

নিম্নলিখিত কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়নের জন্য বিবেচনা করে:

1) প্রক্রিয়াজাত ফল (জ্যাম, জেলি, জুস, আচার, শরবত, শরবত, সসেজ ইত্যাদি) উৎপাদনকারী শিল্প;

2) ফল (টমেটো, আম, পেয়ারা, আখ, কাঁঠাল ফল, লিচু, আনারস, নারকেল ইত্যাদি),শাকসবজি এবং ডাল প্রক্রিয়াকরণ

3) পাউরুটি, বিস্কুট, সেমাই, লাচ্ছা, চানাচুর ইত্যাদি উৎপাদন 4) আটা, ময়দা এবং সুজি প্রক্রিয়াকরণ;

5) মাশরুম এবং স্পিরুলিনা প্রক্রিয়াকরণ; 6)স্টার্চ, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ এবং অন্যান্য স্টার্চ পণ্য উত্পাদন শিল্প;

7) দুধ প্রক্রিয়াকরণ (দুধ পাস্তুরাইজেশন, গুঁড়া দুধ, আইসক্রিম, কনডেন্সড মিল্ক, মিষ্টি, পনির, ঘি, মাখন, দই ইত্যাদি)

8) আলু থেকে প্রাপ্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার (চিপস, আলু ফ্লেক্স, স্টার্চ ইত্যাদি) 9) মাংস প্রক্রিয়াকরণ খামার

10) ভোজ্য তেল এবং হাইড্রোজেনেশন শিল্পের পরিশোধন;           11) লবণ প্রক্রিয়াকরণ শিল্প;  

12) চিংড়ি এবং অন্যান্য মাছ প্রক্রিয়াকরণ এবং হিমায়িত করা;

13) ভেষজ ঔষধি প্রসাধনী উৎপাদন শিল্প;       14) ইউনানি এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ শিল্প;

15) খাদ্য শিল্প (পোল্ট্রি, দুগ্ধ এবং মাছ);         16) বীজ প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণ;

17) পাট ভিত্তিক পণ্য উৎপাদন (দড়ি, সুতা, চট, ব্যাগ, কার্পেট, চন্দন ইত্যাদি);

18) রেশম উৎপাদন শিল্প;              19) কৃষি যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম উত্পাদন এবং মেরামত;

20) চাল, মুড়ি, চিড়া, খই ইত্যাদি প্রক্রিয়াকরণ;     21) সুগন্ধি চাল;

22) চা প্রক্রিয়াকরণ শিল্প;                    23) এপিকালচার/মধু উৎপাদনকারী শিল্প;   

24) নারকেল তেল উৎপাদনকারী শিল্প (যদি স্থানীয় নারকেল থেকে কাঁচা ফসল সংগ্রহ করা হয়);

25) কাঠ, বাঁশ বেত থেকে আসবাবপত্র তৈরি (কুটির শিল্প ব্যতীত)           26) পার্টিকেল বোর্ড;

27) ফুল প্রক্রিয়াকরণ এবং রপ্তানি খামার;         28) বিভিন্ন মশলা-গুঁড়া উৎপাদন শিল্প;

29) জৈব সার, কম্পোস্ট সার এবং গুটি ইউরিয়া;    30) জৈব-কীটনাশক এবং নিম-কীটনাশক উত্পাদন;

31) রাবার কষ এবং লাখখা প্রক্রিয়াকরণ;          32) রাবার পণ্য উৎপাদন প্রকল্প             

33) কোল্ড স্টোরেজ (বীজ সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের জন্য আলু প্রক্রিয়াকরণ, স্থানীয় কৃষকদের দ্বারা উৎপাদিত   

   ফল এবং সবজি);

34) সরিষার তেল উৎপাদনকারী শিল্প;            35) পোল্ট্রি এবং দুগ্ধ শিল্প;

36) ধানের তুষ এবং গোবর থেকে বায়োগ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প এবং

37) ধানের তুষ থেকে ভোজ্য তেল উৎপাদন শিল্প

মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির ভুমিকা (MRA Role):

১) লাইসেন্স প্রদান ও নিবন্ধন ২) নিয়ন্ত্রনের বিধিমালাটি তৈরী ৩) তদারকি ও নজরদারী

৪) সক্ষমতা তৈরী ও প্রশিক্ষণ ৫) ভোক্তার সুরক্ষা   ৬) বিধিমালা পরিপালন

 ৭) আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার

 ক্ষুদ্র ঋণের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:

১) স্বল্প অঙ্কের ঋণ   ) দরিদ্রদের কাছাকাছি পৌছানো    ৩) জামানতমুক্ত  

৪) প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য ঋণ           ৫) আয় বর্ধক            ৬) সুষ্ঠু তদারকি

৭) অলাভজনক উদ্দেশ্যে (Profit motive Free)

বাংলাদেশের গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়নে এনজিওর ভুমিকাঃ–

১) ক্ষুদ্র ঋণ        ২) দারিদ্র বিমোচন   ৩) কৃষি উৎপাদন         ৪) দক্ষতা উন্নান

৫) শিক্ষা বিস্তার     ৬) অবকাঠামোগত উন্নয়ন    ৭) নারীর ক্ষমতায়ন     ৮) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ

১) দুর্যোগ মোকাবেলা      ১০) প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ      ১১) টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন

১২) গ্রামীন অবকাঠামো নির্মান     ১৩) সামাজিক উন্নয়ন      ১৪) আত্মকর্মসংস্থান  

১৫) লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ

 

ক্ষুদ্র ঋণ ক্ষুদ্র অর্থায়নের মধ্যে পার্থক্য (Microcredit vs. Microfinance):

) উপাদান: ক্ষুদ্র ঋণ মূলত  একধরণের সেবা প্রদান করে ঋন বিতরণ আদায় কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য কার্যাবলি

- ক্ষুদ্র অর্থায়ন নানান রকম আর্থিক  সাংগঠনিক আংগঠনিক সেবা প্রদান করে থাকে-  ঋণ, সঞ্চয়, বীমা গোষ্ঠিগত উন্নয়ন

) গুরুত্ব: ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা পন্য বা সেবা কেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ঋনের সংগঠন তাদের সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককেই খুঁজে বের করে

- ক্ষুদ্র অর্থায়নের ধারণা  গ্রাহক কেন্দ্রিক ক্ষুদ্র তর্থায়ন নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী আর্থিক সেবা উন্নয়ন সররাহ করে থাকে

) তহবিলের উৎসঃ প্রধানত বিদেশী দাতা সংস্থাসমূহ তহবিলের যোগানদাতা

- প্রধানত ব্যাংক ঋন আমানত পরিচালনার মাধ্যমে আয় করে থাকে

) সংগঠন তদারকি : প্রাথমিক পর্যায়ে  বেসরকারি  সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়

-           বেসরকারি সংস্থা (NGO) হইতে পরিবর্তিত হয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষর (MRA)

অধীনে ক্ষুদ্র অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান বর্তৃক পরিচালিত হয়

প্রতিষ্ঠান যা বৈদেশিক ধন মূলত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা বৈদের

) মুনাফা অর্জন:  ক্ষুদ্র ঋন মূলত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভর করে

-  ক্ষুদ্র অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান স্ব অর্থায়নের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের চেষ্টা চালায়

. সুদের হার: ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হারের কোন তারতম্য নেই এর সুদের হার সাধারণ ক্ষুদ্র অর্থায়ণের চেয়ে কম হয়

- সাধারনত ক্ষুদ্র অর্থায়ণের সুদের হার ক্ষুদ্র ঋণের চেয়ে বেশি হয়

 

) জামানতঃ দলীয় সদস্যদের সুপারিশ জামানত হিসেবে গণ্য করা করা হয়

- সঞ্চয় বাধ্যতামূলক, সেই সাথে দলের সদস্যদের সুপারিশও জামানত হিসেবে ধরা হয়

) রূপান্তর: ক্ষুদ্র ঋণ হল একটি উদ্ভাবনী কার্যক্রম যা ঋণগ্রহীতা নির্বাচন দল গঠনের সাথে সম্পর্কিত

- ক্ষুদ্র অর্থায়ন বৃহৎ পরিসরে ক্ষুদ্র ঋণের একটি পরিবর্তিত রূপ

) স্থায়ীত্ব: এই সংগঠনের বেশির ভাগই সহায়তা প্রকল্পের জন্য গঠিত হয়

- ক্ষুদ্র অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের উদেশ্য হল নিজস্ব আয়ের মাধ্যমে পরিচালন ব্যয় নির্বাহের মাধ্যমে টিকে থাকা

কৃষি ঋণের সংজ্ঞাঃ (Agricultural Credit)

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কৃষি কৃষি সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য অথবা প্রয়োজনীয় কার কৃষি উপকরণ যেমন- অধিক উৎপাদনশীল বীজ, সার, বালাইনাশক ইত্যাদি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে, শর্তসাপেক্ষে কৃষক যে ঋণ গ্রহণ করে তাকে কৃষি ঋণ বলে

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ছাড়াও কৃষিজমির উন্নতি সাধন, উৎপাদিত পণ্যের সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি কাজের জন্য কৃষকের যে ঋণের প্রয়োজন হয় তাই হলো কৃষি ঋণ

ক্ষুদ্র ঋণ (Micro Credit):

ক্ষুদ্র ঋন হল কোন ব্যক্তি বা দলকে ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান যার মাধ্যমে কোন উপার্জনশীল কাজের মাধ্যমে তার কর্মসংস্থান হয় এবং দারিদ্র বিমোচন হয় ক্ষুদ্র ঋন কর্মসূচি মূলত একধরণের সেবা যার মাধ্যমে কর্জ দেয়া এবং আদায়ের সাথে সম্পর্কিত অন্য দিকে ক্ষুদ্র অর্থায়ন অনেকগুলো আর্থিক সাংগঠনিক সেবা সুদান করে যার মধ্যে রয়েছে ঋণ, সঞ্চয়, গোষ্ঠীভিত্তিক উন্নয়ন

দারিদ্র বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা /কৃষির উন্নয়ন:

) সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে ব্যাংকিং সেবা     ) বিনিয়োগের পরামর্শ              ) উৎপাদনশীল কার্যক্রমে সংযুক্তি

) নারীর কর্মসংস্থান                             ) স্বাস্থ্য পুষ্টি সচেতনতা  ) দক্ষতা উন্নয়ন

) পরিবার পরিকল্পনা       ) মূলধন সরবরাহ ) দরিদ্রদের দক্ষতা বিপণন উন্নয়ন

) আর্থ সামাজিক তথ্য সংগ্রহ        ১০) খাদ্য নিরাপত্তা     ১১) নিরক্ষরতা দূরীকরণ

১২) নারীর ক্ষমতায়ন      ১৩) আধুনিক প্রযুক্তির প্রবর্তন

বাংলাদেশে কৃষির মুখ্য বৈশিষ্ট্য:

) খাদ্য উৎপান নির্ভর                   ) পঁচনশীল কৃষিপণ্য:                   ) নিজস্ব চাহিদামুখী উৎপাদন

) প্রাকৃতিক বিষয়ের উপর নিভরশীলতা         ) দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া                   )  জীবীকার মাধ্যম

) উৎপাদনে অদক্ষতা      ) যোগানের সাথে দামের কম সাড়াদান

) শ্রম বিভাজন বিশেষায়নের কম সুযোগ  ১০) উৎপাদনের উপকরণ চিহ্নিত করণে জটিলতা

 

কৃষি ঋণ বা অর্থায়নের গুরুত্ব:

) খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি       ) দারিদ্র্য দূরীকরণ           ) পল্লী উন্নয়ন

) প্রক্রিয়াজাত শিল্প          ) অর্থনৈতিক গতিশীলতা              ) কর্মসংস্থান

) কৃষির আধুনিকীকরণ      ) ক্ষুদ্র পর্যায়ে খামারীদের পৃষ্ঠপোষকতা       ) বর্গাচাষীদের স্বার্থরক্ষা

১০) বৃহদাকার কৃষি উদ্যোগ            ১১) কৃষি নির্ভর ব্যবসার সম্প্রসারণ     ১২) অবকাঠামো উন্নয়ন

১৩) গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাইলট প্রকল্পের গবেষণা      ১৪) কৃষিভিত্তিক শিল্প

১৫) কৃষিতে অংশীদারিত্ব ভিত্তিক ব্যবস্থার উন্নয়ন: (Agricultural value chain) উৎপাদনকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী বিপণনকারীর মধ্যে অংশীদারিত্ব' পণ্যের গুণগত মান, দক্ষতা বৃদ্ধি ……….

 

ক্ষুদ্র অর্থায়নের উদ্দেশ্য:

. নারীর ক্ষমতাতায়ন      . তহবিলের যোগান   . আত্মকর্মসংস্থান মূলক কর্মকান্ড

. গোষ্ঠীগত উন্নয়ন:         . উদ্যোক্তা উন্নয়ন   আত্ম সমৃদ্ধি                          . ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

 

একটি সমৃদ্ধ  ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান চেনার উপায়: 

) রূপকল্প:                     ) সাংগঠনিক কাঠামো                  ) আর্থিক সেবা

) প্রশাসন অর্থায়ন:      ) ব্যবস্থাপনা তথ্য পস্তুতিঃ

) প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রতিযোগীতা    ) আর্থিক পরিধি সক্ষমতা

ঋণ দাতা নির্বাচনের প্রক্রিয়:

5C:  Character,                        Capacity,         Capital,             Condition,       Collateral

             চরিত্র ,                           সক্ষমতা,                        মূলধন,               অবস্থা ,              জামানত

 

কৃষি ঋণ বিতরণের পদ্ধতি (Methods of Agri cedit Disbursement):

. শাখা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে সরাসরি ঋণ বিতরণ:

. ক্ষুদ্র ঋন প্রতিষ্ঠানের সংযোগের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ:

. এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ: 

. চুক্তিবদ্ধ চায়ের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ:

. ঋণ বিতরণ ক্যাম্পের মাধ্যমে উন্মুক্ত ঋণ বিতরণ:

কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব/ কৃষি ঋণ প্রদানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার:

. মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবহার:     . জি টু পি (সরকার হইতে জনগনকে পরিশোধ):

) সিআইবি ডাটাবেজ:                  . ব্লকচেইন রেজিস্ট্রি: সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তরের খতিয়ান

. ঋন সোপান তৈরী:                    . তথ্য প্রযুক্তি চালিত কৃষি কর্মসূচি

. তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কেনা বেচার প্লাটফরমঃ

 

চলতি মূলধন (Working Capital):

চলতি মূলধন বলতে একটি প্রতিষ্ঠানের লব্ধ আর্থিক সম্পদকে বুঝায় যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা স্বল্প সময়ের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করা হয় চলতি মূলধন হল প্রতিষ্ঠানের চলতি সম্পত্তি দায়ের পার্থক্য সহজভাবে সেই পরিমাণ অর্থ যা কোন প্রতিষ্ঠান তার তাৎক্ষণিক আর্থিক চাহিদা মেটাতে, পরিচালন ব্যয় নির্বাহ এবং ব্যবসার চলমান কার্যক্রমে তহবিলের যোগান দিতে ব্যবহার করা হয়

চলতি মূলধনের উৎস:

) ইক্যুইটি মূলধন                        ) ঋণ গ্রহণ        ) কারবারি ঋণঃ ধারে পণ্য ক্রয়

) প্রাপ্য হিসাবের মাধ্যমে ঋণ: বকেয়া প্রাপ্য হিসাব বাট্টার মাধবে বিক্রয় করে তাৎক্ষণিক নগদ অর্থের প্রয়োজন ……

) সম্পত্তি বিক্রয়: বাড়তি কাঁচামাল, অব্যবহৃত সরঞ্জাম, পরিসম্পদ…. ) সরকারি কর্মসুচী অনুদান

) ক্রাউড ফান্ডিং:  ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক লোকের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করে কোন প্রকল্পে...

) মজুদ পণ্য ব্যবস্থাপনা :

) ট্রেড ফিনান্সিং: বহিঃসীমান্ত লেনদেনের সাথে সম্পর্কিত চলতি মূলধনের প্রয়োজন মেটাতে এল সি, ব্যাংক গ্যারান্টি আমদানি রপ্তানি ঋনের মাধ্যমে ট্রেড ফিনান্সিং করে

১০) আভ্যন্তরীণ উৎসঃ ক্ষুদ্র ব্যবসায় আভ্যন্তরীণ উৎস বড় ভূমিকা রাখে যেমন- প্রতিষ্ঠানের বিবিধ তহবিল নিজস্ব  ব্যক্তিগত তহবিল

স্থায়ী মূলধন ও চলতি মূলধনের পার্থক্য:

স্থায়ী মূলধন

চলতি মূলধন

১) স্থায়ী সম্পত্তির সাহায্যে স্থায়ী মূলধন প্রকাশ করা হয়।

১) চলতি সম্পত্তির সাহায্যে চলতি মূলধন প্রকাশ করা হয়।

২) ব্যবহারের শুরু লগ্ন থেকে স্থায়ী মূলধনের প্রয়োজন

হয়।

২) গঠনের পর ব্যবহারিক কার্যক্রম চালু করতে চলতি মূলধন এর প্রয়োজন হয়।

৩) স্থায়ী মূলধন নগদ আকারে রাখা যায় না।

৩) চলতি মূলধন নগদ আকারেও থাকে।

৪) স্থায়ী মূলধন সহজে পরিবর্তন যোগ্য নয়। এটি

অনমনীয়।

৪) চলতি মূলধন সহজে পরিবর্তনযোগ্য। এটি সাধারণত

নমনীয়।

৫) দীর্ঘ মেয়াদী উৎস থেকে স্থায়ী মূলধন সংগ্রহ করা হয়

৫) স্বল্পমেয়াদী উৎস থেকে চলতি মূলধন সংগ্রহ করা হয়।

)কৌশলগত উদ্দেশ্য পূরণে স্থায়ী মূলধন ব্যবহার করা

হয়।

)প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য চলতি মূলধণ ব্যবহার করা হয়।

৭) ব্যবসায়ে দীর্ঘ সময় ধরে এ স্থায়ী মূলধনের অবস্থান

লক্ষ্য করা য়ায়।

৭) ব্যবসায়ে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত চলতি মূলধনের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।

 

অপর্যাপ্ত অতিরিক্ত চলতি মূলধনের নেতিবাচক প্রভাব (Negative Effect of inadequate & Excess W. Capital):

অপর্যাপ্ত চলতি মূলধন:

. নগদ প্রবাহ ঘাটতি                        . পাওনা পরিশোধে অনীহা                                           . পরিবর্তনশীলতা উন্নতির সুযোগ ব্যহত

. ব্যয়বহুল ঋণের নির্ভরশীলতা             . বৃহৎ পরিমাণ ক্র বাট্টা সুযোগ হারানোঃ (পাকারী মূল্যে)

. ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতা সুনামহানি          ) উদ্ভাবন প্রতিযোগীতা খর্ব:

) কর্মী হারানোর আশঙ্কা: বেতন ভাতা পরিশোধে ব্যর্থতার জন্য..             ) মেরামত   সংস্কারে সমস্যা

 

অতিরিক্ত মূলধনঃ

) অপ্রয়োজনীয় পন্য মজুদ                                           )  ব্যাংক সুদ পরিশোধে বাড়তি ব্যয়:

) তারল্য মুনাফা মধ্যে ভারসাম্যহীনতা                  ) বিনিয়োগ সুবিধা হারানো

) ব্যবসার বিলুপ্তি: ব্যবস্থাপনার অবহেলা জনিত ….

এজেন্ট ব্যাংকিং ?

ব্যাংকের এজেন্ট হল একজন খুচরা বিক্রেতা বা ডাক আউটলেট যারা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সীমিত পরিসরে অনগ্রসর বা প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাংক  সেবাগ্রহীতার লেনদেন সম্পাদন  করে।

ব্যংকের শাখার পরিবর্তে আউটলেটের মালিক অথবা কর্মচারী লেনদেন নির্বাহ করে যা সেবাগ্রহীতা কে টাকা জমা করাটাকা উত্তোলনফান্ড ট্রান্সফারবিল পরিশোধহিসেব জানতে চাওয়া অথবা সরকা সুবিধা গ্রহণ করা ইত্যাদি সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে থাকতে পারে ফার্মেসীসুপারমার্কেটলটারী আউটলেটডাকঘর ইত্যাদি

ব্যাংকের এজেন্টরা সাধারণত পয়েন্ট অব সেল (পিওএসকার্ড রিডারমোবাইল ফোনবারকোড স্ক্যানারপিন প্যাড ইত্যাদির সাহায্যে কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে।মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত কম্পিউটার  ব্যবহার করে যা পার্সোনাল ডায়াল আপ বা অন্য ডাটা কানেকশন ব্যবহার করে কম্পিউটারের সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকে। সেবাগ্রহীতারা যথাক্রমে তার ব্যাংক হিসাব অথবা -ওয়ালেটে প্রবেশ করার জন্য ম্যাগনেটিক ব্যাংক কার্ড বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এজেন্টের সাথে লেনদেন পরিচালনা করে  সেবাগ্রহীতা সাধারণত পিন নাম্বার দিয়ে শনাক্ত হয়ে থাকে তবে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমেও এটা করা যায়। লেনদেন যাচাইকরণঅনুমোদন  অন্যান্য ফয়সালার ক্ষেত্রে এজেন্ট ব্যাংকিং অন্য যে কোন দূরবর্তী ব্যাংক চ্যানেলের মতই কাজ করে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুচরা আউটলেটের মাধ্যমে কাজ করতে পারবে কিনা তা স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নির্ধারণ করে দেয়

 

এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণের সুবিধা-অসুবিধা:

এজেন্ট বাংকিং প্রত্যন্ত ও সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় কৃষকদের কৃষি ঋণ বিতরণে একটি উল্লেখযোগ্য হাতিয়ার হতে পারে।

সুবিধা:

১) বর্ধিত প্রবেশাধিকার           ২) ব্যয় সাশ্রয়ী     

৩) কৃষকদের জন্য সুবিধাজনক: অনেক দূরে ব্যাংকের শাখায় যেতে হয় না

৪) সম্পর্ক ও আস্থা সৃষ্টি          ৫) দক্ষতা বৃদ্ধি: এজেন্টের  …..

অসুবিধা: ;

১) সীমিত সেবা: জটিল ধরনের আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করার দক্ষতা নেই

২) নিরাপত্তার অভাব: কৃষি ঋণ বিতরণকালে জাল জালিয়াতি ও অন্যান্য

৩) নীতিমালা পরিপালন: আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা ও আদর্শ মান নিশ্চিতকরণ

৪) তৃণমূল পর্যায়ে পৌছানোর সীমাবদ্ধতা

৫) প্রযুক্তিগত ও সংযোগ সমস্যা:

এজেন্ট ব্যাংকিং জনপ্রিয় হওয়ার কারণ:

১) আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিস্তার        ২) ব্যয় সাশ্রয়ী           ৩) সুবিধাজনকক ও সহজে সম্পাদন

৪) সম্পর্ক ও আস্থা নির্মান         ৫) কৃষি কার্যক্রমে সহায়তা            ৬) প্রযুক্তির সহায়তা

৭) সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা

ACP:

বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কৃষি নির্ভর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রভিশনাল হিসাবানুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) কৃষির অবদান ১১.০২%। শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও কৃষি খাতের পরোক্ষ অবদান রয়েছে।  কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ প্রতি অর্থবছরে দেশের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করে থাকে।যা Agricultural & Rural Credit Policy and Programme নামে পরিচিত এবং সংক্ষেপে ACP বলা হয়। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি ব্যবস্থার বিকল্প নেই। কৃষি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং দেশের বিস্তৃত গ্রাম বাংলার জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো ACP এর মূল লক্ষ্য।

কৃষি ঋণের পরিধি বৃদ্ধি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, পল্লী অঞ্চলে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, গ্রামীণ অর্থায়নের প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার, দারিদ্র্য বিমোচন এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে উজ্জীবিত রাখার নিমিত্ত সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে ৩৫,০০০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

 

কৃষি অর্থায়নের প্রধান উৎসসমূহ:

১) প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক উৎস       ২) সমবায় সমিতি

৩) সরকারি প্রকল্প         ৪) এনজিও ও উন্নয়ন সংস্থা  ৫) অনানুষ্ঠানিক উৎস

কৃষি অর্থায়নের সীমাবদ্ধতাসমূহ :

১) সীমিত পরিসর         ২) উচ্চ সুদের হার   ৩) জামানতের অভাব 8) মৌসুমী প্রয়োজন   

৫) সুশাসন সমস্যা    ৬) প্রাকৃতিক দুর্যোগ,      ৭) কারিগরি সহায়তার ঘাটতি

৮) ছোট অঙ্কের ঋন       ৯) অর্থের অপব্যবহার

 বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বার্ষিক কৃষি ঋণ কর্মসূচী নির্ধারণ ও তার লক্ষ্য অর্জনের উপায়: (Agricultural Credit policy):

১) কৃষি ঋন নীতিমালার প্রকাশ ও নবায়নঃ ২০০৯-২০১০ সাল থেকে

২) বিজ্ঞপ্তি ও সার্কুলার জারি

৩) পুণঃঅর্থায়ন সুবিধা: ব্যাংকগুলোকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য

৪) বিশেষ প্রকল্প চালু: বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত প্রকল্প সমূহকে আর্থিক ও তদারকি সহায়তা প্রদান

৫) নির্দেশনা ও সমন্বয়:

৬) বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার তদারকি।

৭) সর্ব্বাচ্চ সুদের হার বেধে দেখাঃ

৮) প্রশিক্ষণ প্রদান:

৯) তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও গবেষণা প্রতিবেদন

৪০) আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে পদক্ষেপ

১১) বাধ্যতামূলক কৃষি ঋণের ঋণের লক্ষমাত্রা: প্রতি ব্যাংককে মোট ঋণের লক্ষ্যমাত্রার ২.৫% কৃষি খাতে

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি (Financial Inclusion):

অর্থিক অন্তর্ভুক্তি বলতে বুঝায় কোন ব্যক্তিবর্গ বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিশেষ করে যার প্রথাগত ব্যাংকিং সেবার বাইরে বা ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক পন্য ও সেবা ব্যবহার ও প্রবেশাধিকার।

এই অন্তর্ভুক্তির মধ্যে রয়েছে সঞ্চয়ী হিসাব, ঋণ, বীমা এবং অন্যান্য আর্থিক সরঞ্জামে প্রবেশ যাতে কোন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী অর্থায়ন করতে পারে, সম্পদ নির্মান  এবং তার অর্থনৈতিক সচ্ছলতার উন্নয়ন ঘটাতে পারে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্য হল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্তিত করা, দারিদ্র বিমোচন, এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে কৃষকদের ১০ টাকা হিসাবের ভুমিকা (Role towards Financial  Inclusion)

১) ঋণের সংস্থান          ২) কারিগরী সহায়তা ও বর্ধিত সেবা:            ৩) অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন

৪) গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন ৫) জীবিকার বৈচিত্র সাধন         ৬) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা

৭) সঞ্চয়ের অভ্যাস

চুক্তিবদ্ধ কৃষি উৎপাদন (Contract Farming).:

বৃহদায়তন কৃষিভিত্তিক শিল্প ও কৃষকের মধ্যে সরবরাহের চুক্তি বযা অর্থায়নের কটিল নতুন কৌশল। শিল্পে কাঁচামাল , বিপণন খরচ কমায় ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে।

চুক্তিবদ্ধ উৎপাদনের সুবিধা-অসুবিধা

১) উৎপাদন উপকরন সরবরাহ      ২) পৃষ্ঠপোষক কর্তৃক ঋণ সরবরাহ

৩) নতুন দক্ষতা ও প্রযুক্তি প্রবর্তন    ৪) মূল্য ঝুঁকি হ্রাস          ৫) পন্যের নতুন বাজার সৃষ্টি: যা ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য দুরূহ ৬) জমির দুষ্প্রাপ্যতা লাঘব      ৭) নির্ভরযোগ্য উৎপাদন: খোলা বাজারের চাইতে কম ঝুঁকিতে পণ্য উৎপাদন

অসুবিধা:

১) নতুন শষ্য উৎপাদনের ঝুঁকি     

২ ) অব্যবস্থাপনা ও বাজারজাত সমস্যা: -চুক্তিকৃত সকল উৎপাদিত পণ্য না কেনা ……….

৩ ) পৃষ্ঠপোষক কোম্পানির উপর নির্ভরতার অভাব    ৪) একচেটিয়া ব্যবসা

৫ ) পৃষ্ঠপোষক কোম্পানির কর্মীদের দুর্নীতি         ৬) কৃষকের ঋণে জর্জরিত হওয়া

৭) কৃষকের জমি বেদখল হওয়ার আশঙ্কা       

 ৮) সামাজিক ও সংস্কৃতিগত আগ্রাসন - নির্দেশনা বা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য  উৎপাদনে ……

৪) পৃষ্ঠপোষকের পরামর্শ ও সহায়তার অভাব       ১০) কৃষক কর্তৃক অন্যত্র পণ্য বাজারজাতকরন

 

চুক্তিবদ্ধ কৃষিতে ব্যাংক ও কৃষি উদ্যোক্তার সুবিধা:

১. কৃষি  খাতে বৃহদাকারের ঋণ:     ২. তদারকি সহজতর করে           ৩. ঋণের ঝুঁকি হ্রাস

৪. চুক্তিকারী প্রতিষ্ঠান কতৃক মূল্য নির্ধারণে নিশ্চয়তা         ৫. ঋণ পুনঃপরিশোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:

৬. কৃষির বানিজ্যিকীকরণ:          ৭. কৃষি পণ্যের বাজারের সাথে  সংযোগ ও অবকাঠামোতে প্রবেশ:

৮. প্রয়োজনীয় তারল্য চাহিদা মেটায়:       ৯. দীর্ঘ মেয়াদে অর্তায়ন পরিকল্পনা

কৃষি উদ্যোক্তা:

১) নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য যোগানের ব্য ব্যবস্থা

২) প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক কাঁচামালের যোগান

৩) মৌসুমের অগ্রভাগে এবং শেষের দিকে ফসল চাষের সুবিধা

৪) কৃষকের পণ্যের নিশ্চিত ক্রেতা

৫) পন্য মূল্য সম্পর্কে পূর্বাভাস

 

 

 

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে হাঁস মুরগি, গবাদি পশু মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব:

. জীবিকা কর্মসংস্থান    . কৃষিতে অবদান            . পুষ্টির উৎস                 . আয়ের উৎস

. মূল্য সংযোজনঃ  ডেইরি ও মাংস শিল্প দুধ- যি, দই প্রক্রিয়াকরণ

. রপ্তানি সম্ভাবনা                        . অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি                     .  পুষ্টির যোগান

. প্রজনন উন্নয়ন (Breeding improvement)         ১০. উদ্যোক্তা সৃষ্টি              ১১. জৈব সার অর্গানিক কৃষি

১২. বৈচিত্র ঝুঁকি প্রশমন: এসব খাতে বিনিয়োগ করে কৃষকরা তাদের আবের উৎস বৃদ্ধি করতে পারে , ফসল মন্দা দুর্যাগ, বাজার মূল্যর পতনের  মন্দা ঝুঁকি লাঘব করে

হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু মৎস্য খাতের বর্তমান সমস্যা:

. রোগের প্রাদুর্ভাব           . খাবারের মূল্য বৃদ্ধি                     . জলবায়ুর পরিবর্তন

. বাজার-সুষ্টি মূল্য ওঠানামা

. জৈব নিরাপত্তা: রোগ সংক্রমন প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে  জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ বড় সমস্যা

. অর্থায়ন সমস্যা                        . প্রজনন জেনেটিক্স                 . জমি সম্পদের অভাব

. বাজার গবেষনা বৈচত্র: উচ্চমূল্য রপ্তানীমুখী পন্য বাজারে টিকে থাকার মত ……..

১০. বর্ধিত সেবাদান (Extension Service): পোল্ট্রি শিল্পে সক্ষমতা রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত বর্ধিত সেবা শক্তিশালীকরণ একটি বড় সমস্যা

হাঁস- মুরগি গবাদি পশু খাতে ব্যাংক ঋণ কী কিভাবে সহায়ক?

. আর্থিক সমস্যার সমাধান                         . পর্যাস্ত মূলধন প্রাপ্তি                   . ব্যবসা সম্প্রসারণ:

. সংশ্লিষ্ট খাতের ঝুঁকি প্রশমন: এই খাতে অর্থায়ন আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব জরনিত বীনমা, ফসল ফলনে মন্দা, মূল্য ওঠানামাজনিত ক্ষতি বীমা …..

. নেটওয়ার্ক শিল্প যোগাযোগ                  . সহজ সহনশীল শর্তাবলি:

. বর্ধিত অর্থ ব্যবস্থাপনা: আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ সহায়তা             . সরকারি প্রকল্প কর্মসূচির সম্পৃক্ততা:

কৃষি ঋণ আদায়ের গুরুত্ব (Credit Recovery):

) তারল্য সংকট মোকাবেলা:          ) মূলধন ঘাটতি প্রতিরোধ             ) লাভজনকতা

) পুনঃ বিনিয়োগ                         ) ঋণ খেলাপী এড়ানো                 ) দায়বদ্ধতা তৈরী

) গ্রাহককে উদ্বুদ্ধ বাবা                  ) আইনী ঝামেলা এড়ানো                         ) প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাস্থ্য 

১০) ঋণ প্রাপ্তিতে কৃষকের অধিকার: ব্যাংকের ও কৃষকের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস

কৃষি ঋণ আদায়ের পদ্ধতি (Process)/গৃহীত ব্যবস্থা (steps & incentive)

. ঋন পরিশোধের নমনীয় শিডিউল: মৌসুষ মৌসুমে পরিশোধ, অতিরিক্ত সময়

. ঋণ পুনর্গঠন পুনঃতফশীলিকরণ            . শস্য বীমা ঝুঁকি প্রশমন

. কারিগরি সহায়তা দক্ষতা সৃষ্টি               ) ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিল বা ঝুঁকি বন্টন কৌশল:     

. হ্রাসকৃত  সুদের হার ভর্তুকি:                ) মার্কেটি লিংকেজ বাজার সৃষ্টি

. :   বিকল্প জামানত: শস্য  লিয়েন, গুদামের রসিদ, দলগত গ্যারান্টি ….. 

. কৃষি সংশ্লিষ্ট সহযোগী প্রকল্পে অর্থায়ন (value chain): কাঁচামালের যোগানদাতা, উৎপাদক, প্রক্রিয়াজাতকারী বাজারজাতকারী

কৃষি ঋণ আদায়ের যথাসময়ে ঋণ বিতরণের ভূমিকা: (Timely Credit Disbursement )

. নগদ প্রবাহ বজায় রাখা              . সুযোগের সদ্ব্যবহার

. বিলম্ব   দীর্ঘসুত্রিতা পরিহার: বিরম্বে ঋণ বিতরণ কৃষি কার্যক্রম পরিচালনার বিলম্ব ঘটায় ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস, বাজার হারায়

. অনানুষ্ঠানিক উৎসর উপর নির্ভরতা হ্রাস       . আস্থা আত্মবিশ্বাস তৈরী: সময়মত ঋণ বিতরণ ব্যাংক ঋণগ্রহণকারীর মাঝে আস্থা সদ্বিশ্বাস তেরী করে

ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম:

ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম হল কোন তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক বিতরণকৃত ঋণের কিছু অংশের ক্ষতি বা ঝু৭কি গ্রহণ বা প্রশমন  সাধারণত এসএমই খাতে ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প খাতে প্রদানকৃত ঋণ প্রাক অর্থায়ন ও পুণঃঅর্থায়নের মাধ্যমে ঋণের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়  

কৃষি ঋণ বিতরণ ও আদায়ে ব্যাংক কর্মকর্তার সচেতনতা ও প্রশিক্ষণের ভুমিকা:

১. কৃষি কার্যক্রম সম্পর্কে জ্ঞান         ২. কৃতি ঋণ নীতিমালা সম্পর্কে জ্ঞান             ৩. ঝুঁকি মুল্যায়ন ও ব্যবস্থাপনা

৪. গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা             ৫. ঋণের তদারকি

বৃহৎ সিলেট ও ময়মনসিংহে হাওরের অর্থনৈতিক ভুমিকা:

১. মৎস্য আহরণ                           ২. কৃষি ও সেচ ব্যবস্থা                                ৩. জীবিকার্জন

৪. জীব বৈচিত্র রক্ষণ                                  ৫. পর্যটন ও বিনোদন        ৬. জলবায়ু সুরক্ষা (প্রাকৃতিক জলাধার)

৭. সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য                     ৮. ঝিনুক চাষ

কৃষি পণ্য বিপণনের মূল সমস্যা:

. পণ্যের নিম্নমান                        . কৃষকের দরিদ্রতা                      . মধ্য সত্বভোগীদের শোষণ

. অনুন্নত পরিবহন ব্যবস্থা     . স্থানভেদে কৃষি পণ্যের দামের ভিন্নতা      . বাজার সংক্রান্ত  তথ্যের অভাব

. সংরক্ষণ ফসল কাটা পরবর্তী ব্যস্থাপনা    . গুণগত মান আদর্শ বজায় রাখা            

. মোড়কজাতকরণ ভোক্তা  আকর্ষণ         ১০. মুলধন অর্থায়নের সীমাবদ্ধতা          ১১. প্রতিযোগীতা

ভোক্তা পর্যায়ে কৃষি পণ্যর মূল্য নির্ধারনে মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা ( Middleman) :

. মূল্য নিয়ে দরকষাকষি    . বাজারে  সংযোগসাধন               . মূল্য সৃষ্টিতে ভূমিকা  

. বাজার  সম্পর্কে তথ্য     . পরিবহন লজিস্টিক সুবিধা        . গুনগত মানের নিশ্চয়তা    . কৃষি পণ্য সংরক্ষণ

কৃষক পর্যায়ে পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে প্রযুক্তির ভূমিকা: (Fair price)

. বাজার তথ্য প্লাটফরম     . মূল্য তদারকি ব্যবস্থা                   . ইলেকট্রনিক মার্কেটপ্লেস

. আইটিভিত্তিক নিলাম ব্যবস্থা         . সাপ্লাই চেইন শনাক্তকরণ           . ডাটা বিশ্লেষণ ভবিষ্যত পূর্বানুমান

. সক্ষমতা তৈরী প্রশিক্ষণ

জলবায়ু বান্ধব কৃষি ও এর গুরুত্ব/ উদ্দেশ্য; :

জলবায়ু বান্ধব কৃষি হল ভুমির সমণ্বিত ব্যবস্থাপনা যার মাধ্যমে শস্য ক্ষেত্র , গবাদি পশু, বন ও মৎস্য চাষের মধ্যে সম্পর্কিত সমস্যা দূরীভূত করে খাদ্য  নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করা

 

আমদানির বিকল্প কৃষি পণ্য উৎপাদন বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ভুমিকা:

. খাদ্য আমদানি হ্রাস:       . খাদ্য আমদানির ব্যয় হ্রাস            . বাণিজ্যের ভারসাম্য রক্ষা

. মূল্যর ওঠানামা বন্ধ করা             . কৃষির বৈচিত্র্যককরণ                 

. মূল্য সংযোজন            . বৈদেশিক সরবরাহকারীর উপর নির্ভরতা হ্রাম             .. বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ

. খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধিঃ আভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন করলে খাদ্যের টেকসই নির্ভরযোগ্য যোগান দেয়া সম্ভব হয়

যান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা, উন্নত সংরক্ষণ বিপণন ব্যবস্থা কৃষিপন্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে পভাব:

. অধিক উৎপাদনশীলতা:              . যথাসময়ে উৎপাদন                  . শ্রমের সাশ্রয়

. কারিগরি মানসম্পন্ন  কৃষি: জিপিএস নির্ভর বীজ বপন সার ছিটানো

() ফসল কাটার পরবর্তী ক্ষতি হ্রাস

. পন্যের বর্ধিত আয়ুষ্কাল               . বাজার সৃষ্টি                  . গুণগত মানের শিশ্চয়তা

() বাজারে প্রবেশ                        ১০. মূল্য সম্পর্কে তথ্য                  ১১. মধ্যস্বত্বভোগীর প্রভাব হাস:

১২. মার্কেট লিংকেজ: কৃষক, ক্রেতা ভোক্তার মাঝে প্রত্যক্ষ সংযোগ

কৃষিতে ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ:

. জনসংখ্যা বৃদ্ধি             . বিশ্ব ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন                . জলবায়ু পরিবর্তন

. বাংলাদেশের অর্থনীতির দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন: আয় বৈষম্য তৈরী হলে মৌলিক খাদ্যাভ্যাসে ….

. ভোক্তার রূচি ও প্রত্যাশার পরিবর্তন

. নতুন প্রযুক্তিতে দখল আয়ত্বকরন                     . নতুন প্রজন্মকে কৃষি পেশায় নিয়োগ

কৃষি ক্ষেত্রে অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণের সুবিধা সুবিধা:

সুবিধা:-

) পারষ্পরিক চেনাজানা                . নাসপত্রের ঝামেলা মুক্ত                         ) নথিপত্রের ঝামেলামুক্ত

. জামানতবিহীন                          . সুদমুক্ত ঋণ প্রাপ্তি (বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে)

) স্কন আদায়ের হার বেশি- অধিক পরিমাণ তদারকির ফলে       ) ঋন ব্যবহারের স্বাধীনতা

অসুবিধা: -

. উচ্চ সুদের হার                        . অলাভজনক                . জটিল শর্তাবলী

. অনুৎপাদন খাতে ঋণের ব্যবহার               . একচেটিয়া বাজার - মুয়ের হারের  ভিন্নতার ….

. ঋণদাতার উপর নির্ভরশীলতা: গ্রামীন অর্থনীতির কোন উন্নয়ন ঘটায় না দরিদ্রতার ফাঁদ তৈরী করে

. অকল্যাণমূলক উদ্দেশ্য

দারিদ্র্য ও দারিদ্রের পরিমাপ (Poverty and measurement of Poverty):

দারিদ্র্য হল খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান সহ মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা। যাইহোক, দারিদ্র্য  বলতে শুধু পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার চেয়ে অনেক বেশি সংকটপূর্ণ অবস্থাকে বুঝায়। দারিদ্র্যের ধারণা বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংস্থা কতৃক তাদের মনোগত ধারণার উপর ভিত্তি করে ভিন্নভাবে বুঝায়। বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্যকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে:

দারিদ্র্য হল ক্ষুধা। দারিদ্র হল আশ্রয়ের অভাব। দারিদ্র্যের কারণে অসুস্থ হয়ে ডাক্তার দেখাতে পারছেন না। দারিদ্র্য স্কুলে প্রবেশাধিকার না থাকা এবং কীভাবে পড়তে হয় তা না জানা। দারিদ্র হল চাকরি না থাকা, ভবিষ্যতের জন্য ভয়, এক সময়ে একদিন বেঁচে থাকা।

বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞায় প্রতিদিন ১.৯০ ডলার এর কম আয় উপার্জনকারী বসবাসকারী মানুষকে চরম দারিদ্র্ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা ব্যাপকভাবে গৃহীত এবং ব্যবহৃত হয়, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলি তাদের গ্রুপ সদস্য হিসাবে দরিদ্র নির্বাচন করার জন্য তাদের নিজস্ব মানদণ্ড রয়েছে।

দারিদ্র সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা সারা পৃথিবীতে  ব্যাপকভাবে অনুশীলন করা হয়।  এনজিও এবং এমএফআইগুলি সরলীকৃত পদ্ধতিতে দারিদ্র্যকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক সবচেয়ে দরিদ্রদের লক্ষ্য করে, বিশেষ করে যে সকল মহিলারা এই ব্যাংকের ঋণের ৯৫% গ্রহণ করেতাদের উপর বিশেষ জোর দেয়।গ্রামীণ ক্ষুদ্র ঋণের জন্য ব্যক্তিদের যোগ্য হওয়ার সবচেয়ে বড় মাপকাঠি হল "ভূমিহীনতা"। উদাহরণস্বরূপ, যোগ্য যদি কোন পরিবারের 0.৫ একরের কম চাষযোগ্য জমি থাকে তাহলে ঐ পরিবারের ঋণগ্রহীতারা ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবে। বা যেখানে এমন পরিবার আছে যাদের  "মোট সম্পদদের মূল্য এলাকা ভেদে এক একর মাঝারি মানের, এক ফসলি জমির মূল্যের বেশি নয় ।

NGO/MFIs কর্তৃক ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনে দারিদ্র নির্ধারণের সুচকসমূহ (Poverty indicators customized by NGO/MFIs):

গ্রামীণ ব্যাংক কতৃক দারিদ্র্য মুক্ত আছে কিনা তা নির্ণয়ের ১0টি সহজ সূচক ব্যবস্থা ব্যবহার করে। এই সূচকগুলো খুবই সহজ এবং সহজে পরিমাপ ও যাচাই করা যায়। কোন ব্যক্তি গরিব নয় তা নির্ধারণের সুচকগুলো নিম্নরূপ:

1) যেসব পরিবার কমপক্ষে টাকা ২৫,০০০ টাকা (প্রায় US$370) মূল্যের একটি বাড়িতে বাস করে। বা টিনের চালের একটি বাড়িতে এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্য একটি বিছানায় ঘুমাতে সক্ষম।

2) পরিবারের সদস্যরা আর্সেনিক-মুক্ত টিউবওয়েল থেকে তোলা অথবা ফুটিয়ে বা অ্যালুম, ব্লিচিং পাউডার, ট্যাবলেট বা ফিল্টার ব্যবহার করে বিশুদ্ধকৃত পানি পান করেন,

3) ছয় বছরের বেশি বয়সী পরিবারের সকল শিশু স্কুলে যায় বা প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করেছে।

4) ঋণগ্রহীতার ন্যূনতম সাপ্তাহিক ঋণের কিস্তি ২০০টাকা।

5) পরিবার একটি স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করে।

6) পরিবারের সদস্যদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পোশাক এবং মশারি রয়েছে (শীতের জন্য গরম পোশাক সহ,

যেমন- শাল, সোয়েটার, কম্বল ইত্যাদি)

7) পরিবারের অতিরিক্ত আয়ের উৎস রয়েছে, যেমন একটি সবজি বাগান বা ফল-ফলাদি গাছ, যা পরিবারের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে কাজে লাগতে পারে।

8) ঋণগ্রহীতার সেভিংস অ্যাকাউন্টে গড় বার্ষিক সঞ্চয় কমপক্ষে ৫,০০০ টাকা।

9) পরিবারের সদস্যরা সারা বছর ধরে দিনে তিন বেলা খাবার যোগাতে সক্ষম। অর্থাৎ পরিবারের কোনো সদস্য বছরের যেকোনো সময় ক্ষুধার্ত থাকে না।

10) পরিবার তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারে। পরিবারের কোনো সদস্য অসুস্থ হলে রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরিবারের সামর্থ্য থাকে।

বাংলাদেশের কৃষি খামার খাতে ঋণদানের নীতিমালাসমূহ (Regulatory Policy for Agricultural & Farm Sector in BD. )

. বাধ্যতামূলক কৃতি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ও বিতরণ: মোট ঋণের .%

. কৃষি খাতে বরাদ্ধ : মোট কৃষি ঋণের ৬০% শস্য  খাতে (ধান গম),  ২০%, মৎস্য গবাদিপশু খাতে

. সম্ভাব্য ঋণগ্রহীতা সনাক্তকরণ: জাতীয় .. কৃষি সহায়তা কার্ড  এর সাধ্যমে প্রকৃত কৃষক

. ঋণগ্রহীতার যোগ্যতা: কৃষি কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, ভূমিহীন, ক্ষুদ্র কৃষক, বর্গাচাষী

. কৃষি নীতিমালা: ব্যাংক প্রতি বছর কৃষি পল্লী ঋণ নীতিমালা প্রকাশ করে কৃষি নীতিমালা ব্যাংকগুলোকে কৃষকের জন্য ঋণের পরিমাণ নির্ধারণে সহায়তা করে

. ঋণ প্রক্রিয়াকরণ: ব্যংক ব্যাংকের ঋণ নীতি- আবেদনের ১০ দিনের মধ্যে

. বাতিল আবেদন সমূহ সংরক্ষন:

. ঋণ প্রসেসিং খরচ মুক্ত: বকেয়া ঋণের উপর সুদ আরোপ ছাড়া তেমন কোন খরচ নেই

. কৃষি কৃষি সর্বোচ্চ সীমা : সর্বোচ্চ ১৫ বিঘার জমির জন্য ঋণ প্রদান

১০. CIB রিপোর্টিং: কৃষি ঋণের জন্য সিআইবি রিপোর্টিং বাধ্যতামূলক নয়, তবে সকল কৃষি ঋণের বকেয়ার পরিমাণ CIB সিস্টেমে লিপিবদ্ধ করতে

১১. লিড ব্যাংক পদ্ধতি: প্রতি ইউনিয়নে বসবাসরত কৃষকের জন্য কৃষি ঋণ বিতরণের জন্যে একটি ব্যাংক নির্ধারণ কারা আছে

১২. কৃষি ঋণের সুদ হার: জুলাই ২০২২ এবং BB নির্ধারিত সুদের হার cap %

১৩. শ্রেণীকরণ: যথাসময়ে পরিশোধ না করা হলে তা অনিয়ন্বিত (irregular) গন্য, ১২ মাসের SS , ১২ মাস পর DF, ৬০ মাস পর BL

১৪. ঋণ মওকুফ: BB ঋণের আসল টাকা মওকুফের অনুমোদন দেয় না

 ১৫. জামানতঃ দলীয় গ্যারান্টিতে ব্যাংক বিনা জামানতে এবং  এবং ফসল বন্ধকের মাধ্যমে ঋন দেয় ৫ একর পর্যন্ত 

ঐচ্ছিক বাধ্যতামূলক সঞ্চয় (Voluntary Savings vs. Compulsory Savings):

ঐচ্ছিক সঞ্চয় গ্রাহকের জন্য  বাধ্যতাতামূলক নয়

            - বাধ্যতাতামূলক সঞ্চয় গ্রাহক  কতৃক ঋণ গ্রহণের জন্য সঞ্চয় করতে বাধ্য এবং ঋণ সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত উত্তোলনে বিধি নিষেধ থাকে

ঐচ্ছিক সঞ্চয়ের নীতি হল এই বিশ্বাস যে দরিদ্র  জনসাধারন ইতিমধ্যে সঞ্চয় করে থাকে কিন্তু তা প্রতিষ্ঠানিকভাবে করা প্রয়োজন

-           বাধ্যতাতামূলক সঞ্চয়ের নীতি হল গরীব মানুষেরা সঞ্চয় করতে পারে না, আর্থিক শৃঙ্খলার অংশ হিসেবে তাদের সঞ্চয় করতে শিখতে হবে

ঐচ্ছিক সঞ্চয় গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয় তবে এটি ফলপ্রসু হওয়ার জন্য MFI এর বিশ্বাসযোগ্যতা, সুদের হার বৃদ্ধি, কাছাকাছি অবস্থান, সহজে নগদায়নের সুবিধা থাকতে হবে

-           বাধ্যতাতামূলক সঞ্চয় ঋণের জামানত এবং পরবর্তী বিনিয়োগের জন্য তহবিলের উৎস হিসেবে কাজ করে

সামাজিক মধ্যস্থতা (Social Intermediation):

সামাজিক মধ্যস্থতা হল একটি উন্নয়ন কৌশল যা দলীয় সদস্যদের মধ্যে আর্থিক স্বাক্ষরতা, হিসাব রক্ষণ ও ব্যবসার ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দল গঠন, যোগাযোগ ও সক্ষমতা তৈরী করে।

সাধারণত আর্থিক মধ্যস্ততা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। প্রথাগত ও আধুনিক প্রতিষ্ঠানের কোনটিই আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে আর্থিক মধ্যস্ততা গড়ে তুলতে পারে না। ব্যাংকিং শিল্পের ব্যাপক জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও শুধু আস্থাহীনতার কারণে দরিদ্র মানুষেরা আনুষ্ঠানিক ও আধা আনুষ্ঠানিক মধ্যস্ততা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

স্থানীয় ক্লাব, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কর্মী দলের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ  প্রচেষ্টা চালানো যায় যা আর্থিক মধ্যস্থতাকে সহজতর করে তোলে।

MFI এর বাজার নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয় (What Should MF1 Consider targeting its Market):

১ গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা          ২) নূন্যতম ইকুইটির আবশ্যকা     ৩) নৈতিক অবক্ষয় পরিহার

৪) বাজারের আকার        ৫) জনগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য:      ৬) MFI এর উদ্দেশ্য নির্ধারণ:

৭) গ্রাহক সদস্যদের উদ্দীপিত করার কৌশল              ৮) টার্গেট বাজারে পৌছানোর সামর্থ্য

৯) MFI র জন্য বাজারে কাজের স্থায়ীত্ব           ১০) বাজারে আর্থিক সেবার চাহিদা ও সক্ষমতা

 

ঋণ নিয়মাচার (Credit Norms:):

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি বছর ব্যাংকসমূহের জন্য বার্ষিক কৃষি পল্লী ঋণ নীতিমালা কর্মসূচি প্রকাশ করে

এই নীতিতে প্রধান প্রধান ফসলের জন্য ঋণের নিয়ম এবং ফসল কাটার মৌসুম নির্ধারণ করা থাকে ঋণ

নিয়মাচার ব্যাঙ্কগুলোকে কৃষকদের জন্য উপযুক্ত ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করতে সহায়তা করে৷ এবং

ঋণের নিয়ম অনুসরণ করে কৃষি ঋণ বিতরণের সুযোগ পায়

 

কৃষি পণ্য এবং শিল্প পণ্যের মধ্যে পার্থক্য (agriculture produce and industrial produce):

 

উৎপত্তি: কৃষি পণ্য সরাসরি কৃষিকাজ এবং পশুসম্পদ কার্যক্রম থেকে আসে অন্যদিকে, শিল্প পণ্য কাঁচামাল থেকে তৈরি হয়

প্রক্রিয়াকরণ: কৃষি পণ্য সাধারণত স্বল্প আকারে প্রক্রিয়াজাত করা হয় যেখানে শিল্প পণ্যগুলি উল্লেখযোগ্য প্রক্রিয়াকরণ, রূপান্তর এবং মূল্য সংযোজনের মধ্য দিয়ে যায়

পচনশীলতা: কৃষিপণ্য পচনশীল এবং তাই বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না এটি তুলনামূলকভাবে কম দামে কৃষিপণ্য বিপণনের জন্য দায়ী বিপরীতভাবে, শিল্প পণ্য সহজেই সংরক্ষণ করা যায় এবং এজন্য লাভজনকভাবে বিক্রি করা সম্ভব

শেষ ব্যবহার: কৃষি পণ্যগুলি প্রায়শই খাদ্য, খাদ্যবস্তু বা অন্যান্য মৌলিক উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয় পক্ষান্তরে, শিল্প পণ্যগুলি ভোক্তা এবং মূলধনী পণ্যগুলির বিস্তৃত পরিসরে অন্তর্ভুক্ত

উৎপাদনের সময়: বেশিরভাগ কৃষি পণ্য সাধারণত নির্দিষ্ট ঋতু বা মৌসুমে উৎপাদিত হয় কিন্তু শিল্প পন্য সারা বছর জুড়ে উৎপাদন করা যায়

সরবরাহ শৃঙ্খল (Supply chains): চূড়ান্ত ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর আগে কৃষি শিল্প পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খল তাদের জটিলতা এবং মধ্যস্থতাকারীর সংখ্যা সীমিত শিল্প পণ্য চূড়ান্ত ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর আগের সরবরাহ শৃঙ্খল বেশ জটিল

 

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের এর গ্রাহকের বৈশিষ্ট্য -(Features of MFI & Its Customer)

ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান:

) টার্গেট বাজার: নিম্ন আয়ের ব্যক্তি, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, ব্যাংকি সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী

) ছোট অঙ্কের ঋন:         ) দরিদ্রদের সন্নিকটবর্তী                            ) জামানত যুক্ত

) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ঋন                   ) আয় বর্ধক                   ) সুষ্ঠু তদারকি

) অলাভজনক উদ্দেশ্য                ) সামাজিক সেবা

ক্ষুদ্র ঋন গ্রাহক

) নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী                ) ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ছোট আকারের ব্যবসা

) ব্যাংকিং সেবার বাইরে বা সুবিধা বঞ্চিত      ) প্রান্তিক হতদরিদ্র       ) জামানত বা ঋণের চর্চা সীমিত

) অনানুষ্ঠানিক আয়ের উৎস                      ) সামাজিক নেটওয়ার্কিং গোষ্ঠীগত বন্ধন

) জীবন জীবিকা উন্নয়নে আগ্রহী

MFI এর প্রত্যক্ষ লক্ষ্য পরোক্ষ লক্ষ্য (Direct & Indirect Targeting of MFI)

 যখন কোন নির্দিষ্ট তহবিল একটি নির্দিষ্ট জনসংখ্যা, গোষ্ঠী বা অর্থনৈতিক খাতে ঋণ প্রদানের জন্য বরাদ্ধ করা হয় তাকে প্রত্যক্ষ লক্ষ্য বলে এই ধরণের প্রত্যক্ষ বাজারে অবদান রাখা সংস্থাগুলো মনে করে যে এই সমাজের নির্দিষ্ট গোষ্ঠী যেমন-দরিদ্র জেলে, কৃষক সুলভ মূল্যে ঋণের প্রবেশাধিকার নেই এই জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন সংস্থা যেমন সরকার দাতাগোষ্ঠী কর্তৃক ভর্তুকী মূল্যে ঋন সুবিধা দিতে হবে 

যে সকল জনসাধারণ আনুষ্ঠানিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের সরাসরি সংযোগ থেকে থেকে দূরে রয়েছে তাদেরকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন পণ্য বা সেবার কাঠামো রূপরেখা প্রণয়ন প্রয়োগ করা হলে তাই পরোক্ষ লক্ষ্য মাত্র এরূপ সংস্থার বিশ্বাস হল যে, অনেক জনসাধারণ বাজার ব্যবস্থা ও আর্থিক প্রতিবন্ধকারতার কারণে আয় বর্ধক কাজের সুবিধা নিতে পারে না  একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নির্ধারিত তহবিল বরাদ্ধ না করে ক্ষুদ্র ঋন কার্যক্রমের কাঠামো ও গুনাগুন অনুযায়ী ঋণগ্রহীতা নির্বাচিত করা হয়

ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের সেবার ন্যূনতম  সমন্বিত ধরণ (Minimalist approach & integrated approach):

ন্যূনতম পদ্ধতি ব্যবহারকারী ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রধানত আর্থিক মধ্যস্থতা কার্যক্রমের সাথে সীমিত আকারে সামাজিক মধ্যস্থতা সেবা প্রদান করে ন্যূনতম পদ্ধতিতে আর্থিক পরিষেবাই প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের জন্য একমাত্র "অবিচ্ছেদ্য অংশ" (missing piece) হিসাবে ধারণা পোষণ করা হয়

ন্যূনতম পদ্ধতির সাথে কাজ করা MFIS শুধুমাত্র আর্থিক সেবা প্রদান করে বিধায় তারা খরচ সাশ্রয়ের সুবিধা উপভোগ করে কারণ সমন্বিত পদ্ধতির সাথে কাজ করা MFI গুলি সাধারণত আর্থিক পরিষেবার সাথে সাথে করে বিনামূল্যে অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করতে হয় সাধারণত এমএফআই এর চারটি পরিষেবার মধ্যে পার্থক্য করা প্রায়শই কঠিনতাই একটি কাজে প্রাধান্য এমএফআইকে মৌলিক কাজে গুরুত্বারোপ করতে সাহায্য করে যদি এমন গ্রাহক থাকে যারা সমন্বিত সেবা দাবি করে; এটি MFI-এর জন্য খুব একটা সমস্যা নয় কারণ গ্রাহক অন্যান্য সংস্থা আছে সেখান থেকে এই সেবা পেতে পারে

 যেসব MFIs বিশ্বাস করে যে শুধুমাত্র আর্থিক পরিষেবা এককভাবে দারিদ্র্য দূর করতে সাহায্য করতে পারে না এবং টেকসই পরিবর্তন আনতে পারে না সেসব MFIs সাধারণত একটি সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরণ করার চেষ্টা করে যেসব MFIs সামগ্রিক পদ্ধতিতে কাজ করতে চায় তারা গ্রাহককে অধিকতর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে তারা আর্থিক এবং সামাজিক পরিষেবার একটি সংমিশ্রণ বা সেবা প্রদান করে যথা: আর্থিক মধ্যস্থতা, সামাজিক মধ্যস্থতা, প্রতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং সামাজিক সেবা

ক্ষুদ্র ঋণদান প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ টার্গেটের সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages & Disadvantages of direct targeting):

সুবিধা:

নির্দিষ্ট খাতে তহবিলের যোগান: এটি অর্থনীতি বা জনসংখ্যার একটি নির্দিষ্ট খাতে ঋণ প্রদানের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তহবিলের যোগান দেয়।

নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে ঋণ সহায়তা: এটি এই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত যে যেহেতু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী (দরিদ্র, নির্দিষ্ট জাতি) বা সেক্টর (কৃষি, মৎস্য) ঋণ সুবিধা প্রবেশ করতে অক্ষম, সরকার বা দাতার মাধ্যমে ক্রেডিট অ্যাক্সেসযোগ্য করতে হবে।

ঋণগ্রহীতা নির্বাচনে সুবিধা              সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী      

অসুবিধা:

ক)  ঋণদাতার আরোপিত সিদ্ধান্ত: ঋণগ্রহীতারা কোনটা তাদের জন্য ভালো বা বেশি উপযুক্ত তা ভালো জানেন । ঋণ সরবরাহকারী কতৃক চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তে, তহবিলের কম বা অদক্ষ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে;  ফলে ক্ষুদ্র ঋণের প্রকল্পগুলি টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা কম।

খ)  ভোগের প্রয়োজন উপেক্ষিত: উন্নত বিশ্বে প্ররোচনা করার কৌশলটি  খুব বেশি উৎপাদন কেন্দ্রিক। আয় বৃদ্ধির উপর অত্যধিক জোর দেওয়ার সময় , প্রায়ই দরিদ্র অভুক্ত জনগোষ্ঠির ভোগের প্রয়োজনকে  উপেক্ষা করা হয় । এর ফলে প্রকল্পগুলি সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

গ) তহবিলের অপ-ব্যবহার:  প্রত্যক্ষ লক্ষ্যমাত্রায় অর্থের সংক্রমন বৈশিষ্ট্যের কারণে, প্রদত্ত তহবিলটি আসলে কোথায় ব্যবহৃত হচ্ছে তা জানা কঠিন। তাই তহবিল ভিন্ন খাতে চলে যাবার সম্ভাবনা বেশি।

ঘ) ঋণ পরিশোধে অনীহা: ঋণ গ্রহীতার এক ধরণের মনোভাব তৈরী হয় যে এ ধরণের অর্থ তাদের পেশা ও সমাজকে সহায়তা হিসেবে দেয়া হয়েছে। তাই প্রত্যক্ষ টার্গেটে ঋণ পরিশোধে অনীহা কাজ করে।

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রভাব বিশ্লেষণ (Impact  analysis of an MFI ):

প্রভাব মূল্যায়ন (IA) পরিবর্তন সনাক্ত করার জন্য একটি গবেষণা  যা অভিজ্ঞতালব্ধ পরিবর্তন এবং প্রকল্পে অংশগ্রহণের মধ্যে যুক্তিসঙ্গত সম্পর্ক স্থাপনের পদ্ধতি ব্যবহার করে পাওয়া যায়বাস্তবে, যাইহোক, অন্যান্য কারণ প্রভাবসমূহকে  প্রভাবিত করতে হস্তক্ষেপ করে (যেমন- লিঙ্গ, পরিবারে প্রাতিষ্ঠানিক আয়ের ভূমিকা, প্রতিষ্ঠানের অবস্থান)। 

প্রভাব বিশ্লেষণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোন মধ্যস্থতা বা পদক্ষেপের  ফলে কাঙ্খিত ফলাফল অর্জিত হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করেক্ষুদ্রঋণ এ প্রভাব বিশ্লেষণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি মধ্যস্থতা হিসাবে ক্ষুদ্রঋণের প্রভাব নির্ধারণ করেপরীক্ষিত প্রভাবগুলি MFI কতৃক অনুসন্ধানকৃত ফলাফলের উপর নির্ভর করে। দারিদ্র্যের হাতিয়ার হিসাবে ক্ষুদ্রঋণকে বিচার বিবেচনা করার জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীর প্রভাব বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ 

প্রভাব বিশ্লেষণের সাথে সময় এবং অর্থের মত সম্পদের বিনিয়োগ জড়িতঅধিকন্তু, প্রভাব মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলমান কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। 

প্রভাব বিশ্লেষণের সময় (Time of Impact  Assessment): 

প্রভাব মূল্যায়ন নীতিগতভাবে তিনবার করা উচিত।  

(ক) মধ্যস্ততার আগে: হস্তক্ষেপের আগে প্রভাব মূল্যায়ন গ্রাহক দল সম্পর্কে মৌলিক তথ্য দেবে যা পরবর্তী মূল্যায়নের সময় হস্তক্ষেপের কারণে সংঘটিত পরিবর্তনগুলির তুলনা করবে। 

(খ) মধ্যস্ততার পরে: প্রারম্ভিক ঘটনার সাথে বা মধ্যস্ততার আগে সেট করা ডেটা তুলনা করে একটি নির্দিষ্ট মধ্যস্ততার প্রভাব দেখার জন্য সাধারণত একটি প্রকল্পের শেষে প্রভাব মূল্যায়ন করা হয় 

(গ) মধ্যস্ততা চলাকালীন: মধ্যস্ততার সময় প্রভাব মূল্যায়নবিশেষত মধ্যস্ততার মাঝামাঝি সময়ে ব্যবস্থাপকদের দুর্বলতাগুলি খুঁজে বের করার প্রস্তাব দেয় এবং সেগুলির উপর ভিত্তি করে মধ্যস্ততার বৃহত্তর সাফল্যের জন্য সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় 

MFI এর জন্য প্রভাব মূল্যায়নের চ্যালেঞ্জ (Challenges of impact assessment for an MFI) 

- প্রভাব বিশ্লেষণ পরিচালনা একটি ব্যয়বহুল কাজ 

- ডেটা সংগ্রহ করতে অনেক সময় লাগে 

- মূল্যায়নকালে তথ্যের গড়মিল করার আশঙ্কা থাকে এবং নবীন কর্মীর সাথে কাজ করা আরও কঠিন হতে পারে 

- ফলাফল কম নির্ভরযোগ্যমূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলাকালীন গ্রাহক সঠিক তথ্য প্রদান না করলে; ফলাফল অসম্পূর্ণ, অবিশ্বস্ত বা বিভ্রান্তিকর হতে পারে 

- প্রভাব বিশ্লেষণের সুযোগ সীমাবদ্ধ কারণ এর ব্যবহৃত নিয়ন্ত্রিত চলকের সংখ্যা খুবই কম  

- অবৈধ বা ভুল তথ্যর বিভ্রাট নিষ্পত্তি করা কঠিন 

- বিশ্বাসযোগ্য প্রভাব মূল্যায়নের জন্য গ্রাহকের স্বচ্ছতা এবং সততা গুরুত্বপূর্ণ যা অধিকাংশ সময় অপ্রতুলযেমন- যেহেতু অর্থ অনর্থের মূল, তাই কেউ ঋণ গ্রহণ করে প্রতিশ্রুত উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ নাও করতে পারে 

 https://pdf.usaid.gov/pdf_docs/pnacj137.pdf 

 

প্রভাব বিশ্লেষণের গুরুত্ব (Importance of impact assessment for an MFI): 

প্রভাবের পরিমাপ করা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক 

• MFIs কতৃক চালুকৃত দারিদ্র্য-বিমোচনের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির অগ্রগতি জানা প্রয়োজন 

সমস্যা সৃষ্টিতে অবদান রাখে এমন কারণগুলির পরিসর চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণযেমন- দারিদ্র্য, এবং একই সাথে এসবসমস্যার সমাধানের টেকসই পদ্ধতি উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন  

প্রভাব মূল্যায়নের মাধ্যমে MFIs-কে প্রদত্ত সহায়তা ও তার অবদানের উদ্দেশ্য কতটা সফল হচ্ছে তার কার্যকর মাত্রা সম্পর্কে দাতাগোষ্ঠীকে জানানো যায় 

• IA একজন গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট চাহিদা বোঝার মাধ্যমে প্রকল্পের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে 

তবে, প্রকল্পের কর্মক্ষমতা এবং প্রকল্পের প্রভাব জানাও গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য যেমন আউটরিচ সম্প্রসারণ, উচ্চ পোর্টফোলিওর মান বজায় রাখা এবং আর্থিক টেকসইতা অর্জন করার মাধ্যমে প্রোগ্রামের কার্যকারিতা অর্জিত হয় 

কর্মসূচীর প্রভাব বিশ্লেষণ উন্নয়ন লক্ষ্যের উপর গুরুত্বারোপ করে; অন্য কথায়, ক্ষুদ্র-অর্থায়ন কর্মসূচিগুলো দারিদ্র্য বিমোচনে কতটুকু অবদান রাখে প্রভাব মূল্যায়নের মাধ্যমে তা জানা যায় 

 https://www.slideshare.net/pantaroshan/the-target-market-and-impact-analysis 

 

এনজিও এবং MFI এর উন্নয়ন রূপান্তর: (Growth & Transformation of  NGO & MFI)

বাংলাদেশের প্রোক্ষাপটে ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ণ রূপান্তরের, এরা পদ্ধতি পরিধি অনুধাবন গুরুপূর্ণ বাংলাদেশে মাইক্রোক্রেডিট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা   প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে ইতিমধ্যেই অনেক বছর অতিক্রান্ত  হয়েছে

বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যে থেকে সম্প্রসারণ: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে  MFI এর কর্মসংস্থান এর উদ্দেশ্যর উপর নির্ভর করে একটি NGO সমবায় সংস্থা সম্প্রসারিত হতে পারে এবং MFI হিসেবে কাজের পরাধি বাড়াতে পারে সেই সাথে তাদের টার্গেট গ্রাহকের চাহিদা পুরণ করতে পারে বেশিরভাগ NGO প্রথম দিকে কোন নিয়ন্ত্রিত সংস্থার আওতাভুক্ত না থেকে তাদের লক্ষ্যভুত গ্রাহকদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণ সমাজ সেবা প্রদান করেছে, যেমন- বুরো

ভিন্ন কাঠামোতে সম্প্রসারণঃ কিছু কিছু MFI আন্তর্জাতিক NGO এর সাথে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে তাদের কার্য  পরিধি বিস্তৃত করে বিপুল পরিমাণ ঋণদানে সক্ষমতা লাভ করে যেমন- CDF  বা ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট  ফোরাম

আনুষ্ঠানিক আর্থিক মধ্যস্ততাকারী গড়ে তোলা: এই পদ্ধতিতে NGO   সমবায় সমিতিকে পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুনভাবে পূর্ণাঙ্গ  আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এক্ষত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত  খরচ করতে হয় এবং বিধি নিশেধের েআওতাভুক্ত থাকতে হয়, যেমন- ব্রাক ব্যাংক

পরিচালনা মালিকানা: কে বা কারা শীতি নির্ধারণের দায়িত্বে থাকবে তার উপর MFI এর প্রশাসনের অবস্থা নির্ভর করে ক্ষুদ্র  ঋণ প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই আর্থিকভাবে টেকসই ব্যবসা সাধারণ স্বার্থরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে MFI আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হওয়ার পর একটি রূপকল্প মিশন নিয়ে এগিয়ে যায় এই রূপকল্প সম্পন্ন হওয়ার পর অন্য কোন ব্যবসা বান্ধব পদ্ধতি শুরু করে

পুঁজি বাজারে প্রবেশঃ সাধারণত MFI সমূহ বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠী সরকারের কাছ থেকে সহায়তা, মঞ্চুরী ঋণের মাধ্যমে তহবিল সৃষ্টি করে MFI এই সহায়তার মাধ্যমে বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না তাই কিছু কিছু NGO আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করছে MFI শি তার প্রয়োজনে গ্যারান্টি তহবিল, ইক্যুইটি, ইক্যুইটি বিনিয়োগ তহবিল, সামাজিক দায়বদ্ধতা মিউচুয়াল ফান্ড, ঋনের পোর্টফলিওর সিরকিউরিটিতে রূপান্তরে মাধ্যমে - MFI গুলো নতুন পুঁজিবাজারে প্রবেশ করে থাকে

ঋনের সংস্থান : বাণিজ্যিকভাবে তহবিলের উৎস উৎস সংস্থান করার জন্য MFI গুলো কোন ধরনের সহায়তা ভর্তুকির অভাব মেটাতে অবশ্যই স্বনির্ভর হতে হয় বাংলাদেশে তহবিলের উৎস হিসেবে MFI কর্তৃক ব্যাংক ঋণ গ্রহণ দিন দিন বেড়ে চলেছে ব্যাকগুলো MFI কে ঋন প্রদান করা নিরাপদ হিসেবে মনে করে ব্যাংক তাদের ঋণ নীতিমালার অংশ হিসেবে কৃষি ঋনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য MFI সমূহ কে ঋণ প্রদান করে

MFI এর কয়েকটি সামাজিক সেবা:

. দক্ষতা সৃষ্টি                  . আর্থিক স্বাক্ষরতা: হিসাবরক্ষণ .. .. ঋণ তার ব্যবহার              

. সুপেয় পানি স্যানিটেশন:        . প্রাথমিক প্রতিকার যোগ্য স্বাস্থ্য সেবা:                              . উদ্যোক্তা উন্নয়ন

. নারী ক্ষমতায়ন                         . পরিবেশ সুরক্ষা                         . প্রাথমিক গণশিক্ষা

 

ব্যাংক- MFI, MFI-MFI লিংকেজ এর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি শক্তিশালীকরণে ভূমিকা:

কৃষি ঋণ প্রত্যন্ত এলাকা কাঙ্খিত ব্যাক্তির কাছে পৌছানো নীতি নির্ধারক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জস্বরূপ সাম্প্রতিককালে গুটিকয়েক MFI ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে  কর্তৃত্ব করছে অন্যদিকে ছোট ছোট MFI গুলো মারাত্মক তহবিল সংকটে ভুগছে এ কারণে MFI সমূহ  ক্রান্তিকালের সন্ধিক্ষণ কাটাচ্ছে

ব্যাংক-MFI লিংকেজ কৃষি ঋন বিতরণে অর্থায়নে একটি শুভ বার্তা বয়ে আনছে কৃষি ঋণ বিশেষ কর্মসূচির (ACSP) নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে MFI লিংকেজের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে কৃষি খাতে পর্যাপ্ত তহবিল সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে

ব্যাংক- এমএফআই লিঙ্কেজ কীভাবে একে অপরকে সাহায্য  করতে পারে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

এমএফআই

ব্যাংক

1. গ্রামাঞ্চলে বিপুল গ্রাহকের চাহিদা

1. সীমিত সংখ্যক গ্রাহক

2. পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী থাকে

2. সীমিত সংখ্যক কর্মীর পক্ষে নতুন নতুন গ্রাহক  অনুসন্ধান এবং সেবা প্রদান  করা কঠিন

3. গ্রাহকদের ক্ষুদ্র আকারের ঋণ বিতরণ এবং পুনরুদ্ধারে পরীক্ষিত  অভিজ্ঞতালব্ধ

3. কিছু  কিছু ব্যাংকের স্বল্প  অভিজ্ঞতা আছে; কিন্তু প্রাইভেট এবং বিদেশী ব্যাংকের ক্ষুদ্র আকারের ঋণ বিতরণ এবং পুনরুদ্ধারে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে

4. বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা প্রদান গ্রাহকদের জন্য খুবই ফলপ্রসু

4. গ্রাহকদেরকে ঋণ পেতে কয়েক দিন ব্যাংকে যেতে হয়

5. তহবিলের অভাব দেখা দেয় কারণ বাধ্যতামূলক সঞ্চয় ছাড়া সাধারণত গ্রাহকদের MFI সঞ্চয় করে না

5. ব্যাংকের পর্যাপ্ত তহবিল আছে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী জন্য মোট পোর্টফোলিওর ন্যূনতম 2.5% ঋণ কৃষি খাতে বিতরণ করতে হয়

 তাই ব্যাঙ্কের তহবিল MFI  কর্তৃক বিতরণ করা হয় মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির মতে এখনও MFI সমূহকে ব্যাংকগুলির প্রচুর তহবিল দেওয়ার সুযোগ রয়েছে কারণ নিজস্ব পুঁজি এবং বিদেশী তহবিলের স্বল্পতা থাকায় মাঠ পর্যায়ে MFI-এর ব্যাংক তহবিলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে

 

উদীয়মান কৃষিতে value chain অর্থায়ন বা মূল্য শৃঙ্খল এর অবদান :

value chain বলতে কৃষিক্ষেত্রে নানাবিধ/বহুমুখি প্রভাবককে বুঝায় যারা কৃষি উপকরণ যোগানদাতা কৃষকের কাছ থেকে তৃনমূল পর্যায় থেকে চূড়ান্ত ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য উৎপাদন, রূপান্তর বা স্থানান্তর করে এবং এই কর্মীদের ঋণের চাহিদাও মেটানো হয়

কৃষি পণ্য কৃষকে ক্ষেত হইতে সর্বশেষ ভোক্তার টেবিল পর্যন্ত পৌছানোর সম্পূর্ণ কার্যক্রম  তাতে অংশগ্রহনকারী valu chain অর্থায়ন  এর অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক স্টেকহোল্ডার বা প্রক্রিয়াকরণে পরবর্তী ধাপের সাথে একটি যোগসুত্র  থাকে পন্য পরিবহন, প্রক্রিয়াকরণ প্যাকেজিং এর প্রতিটি ধাপে অতিরিক্ত রাপান্তর বা উন্নয়ন ঘটে

value chain এর ভূমিকাঃ

দক্ষতা বৃদ্ধি: মূল্য  শৃঙ্খল অপচয় হ্রা, খাদ্য নিরাপত্তা  নিশ্চিতকরণ,  পণ্যের তরতাজা সংরক্ষণ, ভোক্তামূল্য হ্রা কৃষকরক ন্যায্য মূল্য  পার্জনের সুযোগ দানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে

মধ্যস্ততাকারীর প্রভাব হ্রা: সরাসরি খামার থেকে পণ্য সংগ্রহ, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার উন্নত অবকাঠামো ব্যবহারের কারণে মধ্যস্থতাকারীরা হস্তক্ষেপ করতে পারেনা

 প্রচলিত কৃষির পরিপুরক: কৃষি খাতে value chain প্রথাগত কৃষিতে অর্থায়নেকে বিলুপ্ত করেনা কিন্তু বিকল্প পথ দেখায় value chain অর্থায়ন সধারণ কৃষি খাতে যে সকল ফাঁক ফোকর রয়েছে সে সকল কার্যক্রমের ধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে

উৎপাদন ব্যয় হ্রাম ঝুঁকি হ্রাসঃ value chain অর্থায়ন সরাসরি প্রাক্রয়াকরণ ধাপে ধাপে ঋন সরবরাহ করে ফলে প্রতিযোগীতা হ্রাস পায় ঝুঁটি অনুধাবন করতে ক্ষম হয়

কৃষক ব্যবসায়ী অংশীজনের সাথে আস্থা তৈরী: কৃষক ফরিয়ার মধ্যে সবসময় দন্দ থাকে কৃষক নিম্ন মানের পণ্য সরবরাহ করে এবং ব্যবসায়ী কম ওজন বা ওজনে ঠকিয়ে কৃষকের সাথে প্রতারণা করে value chain বজায় থাকলে পারস্পরিক স্বার্থ  রক্ষা হয়

বাজারের সাথে কৃষকের সংযোগ: …….

টেক কৃষি: যুবক সমাজ কৃষি পেশায় নিয়োজিত হবে এবং তারা গ্রাম ছেড়ে যায় না

সম্ভাব্য উন্নয়নের ক্ষেত্র অনুধাবনঃ … ….

 

ভোগ্য পণ্যের বাজার (Commodity Market):

বাজার বলতে শুধুমাত্র পন্য বিক্রির স্থানকে বুঝায় না বাজার হলে কিছু পদ্ধতি, প্রতিষ্ঠান, ব্যবস্থাপ, সামাজি সম্পর্ক অবকাঠামোর সংমিশ্রণ যেখানে জনসাধারণ পণ্য   সেবা বিনিময়ে নিয়োজি থাকে ভোগ্য পণ্যের বাজার এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে যেখানে উৎপাদনের পরিবর্তে মৌলিক অর্থনৈতিক খাত ব্যবসা করে কৃষি ভোগ্য পণ্য  যেমন-ভুট্টা, গম, চাল, সরিষা, ফল, চিনি ইত্যাদিকে কোমল ভোগ্য পন্য এবং খনিতে উত্তোলিত পন্য যেমন- সোনা ইস্পাতকে কঠিন ভোগ্য পন্য বলা হয়

 

ভোগ্য পণ্যের মূল্য ওঠা নামা হ্রাসের কয়েকটি কৌশলে: Instruments used for Reducing the risk of price flactuation in Commodity Market).

. সরবরাহকারীর সাথে দীর্ঘ মেয়াদে মূল্যে নির্ধারন:      . উৎপাদন খরচ আরোপঃ কাঁচামালের ক্রেতা-

. কৌশলগত ক্রয় বা মজুদ : কম দামে পণ্য মজুদকরণ … …  

. বিকল্প চুক্তিঃ বিকল্প চুক্তি হলো বিরূপ পরিস্থিতিতে বিশেক চুক্তি বাতিল করার ক্ষমতা

. বীমা ব্যবস্থা: পন্য মূল্য ঝুঁকি বীমা .. …                   . অতি উৎসাহব্যঞ্জক, ক্রয় বিক্রয় বিরত থাকাঃ

. পন্য বিনিময়ের ভবিষ্যত চুক্তিঃ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নির্ধারিত মূল্যে চুক্তি শেষ হবার পরও পণ্য ক্রয় বিক্রয়ে বাধ্য থাকা

উচ্চ ফলনশীল উচ্চ মূল্যের ফসলের মধ্যে পার্থক্য: (High yielding varieties & High value Crops)

. উচ্চ ফলনশীল ফসল হল এক ধরনের কৃষি শষ্য  যা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য  উদ্ভাবন করা হয়

-           অন্যদিকে উচ্চ মূল্যের ফসল হল পণ্যের মান খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে গুরুত্বারোপ করে গৃহীত কর্মসূচি

 

. উচ্চ ফলনশীল ফসল নির্বাচিত কয়েকটি জাত সংকরায়নের মাধ্যনে প্রতি একর জমিতে অধিক ফলনের জন্য এক উন্নয়ন করা হয়

-           যে সকল জাতের ফসলের বাজার মূল্য বেশি উৎপাদন কম সে সকল পণ্যের উন্নয়ন করাহয়

 

. উচ্চ ফলনশীল ফসলের বীজ সাধারণত প্রধান প্রধান প্রচলিত শষ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যেমন- ধান, গম, ডাল, তেলবীজ ইত্যাদি

-           উচ্চ মূল্যের ফসলের মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, ফল, ভেষজ মসলাজাতীয় ফসল

 

. উচ্চ ফলনশীল ফসল অধিক পরিমানে রোগ কীটপতঙ্গ সহনশীল হয় এবং এসব ফসলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা যেমন- কাম্য মাত্রায় বৃদ্ধির জন্য সার সেচের প্রয়োজন হয়

            - উচ্চ মূল্যের ফসলের বিশ্বের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয় যেমন-সতর্কতার সাথে চাষ উন্নত বাজারজাত কৌশল এবং ধরণের ফসলের মূল্য ওঠানামা অধিকতর স্পর্শকাতর

 

দারিদ্র বিমোচনে উচ্চ মূল্যের ফসলে ঋণ দানের ভুমিকা (Financing in High-value Crop for reducing Poverty) :

. আয় বৃদ্ধির সুযোগ                                      . প্রচলিত ফসলের উপর কম নির্ভরতা

. উন্নত মানের কৃষি উপকরণ ক্রয়: অধিক উৎপাদন মানসম্মত ফসল ….

. অধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা: আধুনি চাষাবাদ কৌশল উৎপাদনশীলতা বাড়া ..

. উন্নত বাজার ব্যবস্থাপনা: আর্থিক হায়তার মাধ্যমে কৃষকরা বাজারে প্রত্যক্ষ  বিক্র বা সমবায় ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রবেশাধিকার পায় ,তাদের দরদাম রার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

. কর্মসংস্থানের সুযোগ: অধিক শ্রমে দরকার হয়

. স্থানীয় অর্থনীতিতে হাতাঃ কৃষির বর্ধিত কার্যক্রম বাজারজাতকরণ, পরিবহন খুচরা লেনদেনের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিতে গতিশীল করে

. দক্ষতা উন্নয়ন: ঋণ দানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শিক্ষা কৃষকদে ..          

. নারীর ক্ষামতায়ন: আর্থিক স্বাবলম্বীতা দিকে ….

১০. টেকসই কৃষিকে উৎসাহ দান:.... দীর্ঘ মেয়াদে পরিবেশগত অর্থনেতিকভাবে লাভবান করে

১১. বাজার মূল্যর ওঠানামার স্থিতিশীলতাঃ

জামানত :

জামানত হল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ যা ঋণগ্রহীতার মালিকানাধীন থাকে। যেমন- বাড়ি, জমি, পশুসম্পদ, যানবাহন ইত্যাদি। এই সম্পদের বিপরীতে ব্যাংক ঋণগ্রহীতাকে ঋণ প্রদান করে। জামানত ঋণদাতার জন্য একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করে। কেউ যদি ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে ঋণদাতা সাধারণত ঋণের অর্থ আদায়ের জন্য এই সম্পত্তি দখল করতে পারে।

ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানে প্রথাগত জামানত পদ্ধতির প্রতিস্থাপন:

ক্ষুদ্রঋণ অঙ্গনে, জামানতের ধারণা ভিন্ন। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (MFIs) সাধারণত নিম্ন আয়ের গ্রাহকদের যাদের প্রায়ই খুব কম সম্পদ থাকে তাদেরকে ঋণ দেয়ফলস্বরূপ, এই শ্রেণীর ঋণ গ্রহীতার কাছে প্রচলিত জামানত যেমন- সম্পত্তি, জমি, যন্ত্রপাতি এবং মূলধনী সম্পদ পাওয়া যায় না। এই প্রেক্ষাপটে, MFIs দ্বারা ঋণ বিতরণ করার নিমিত্তে ক্ষুদ্র ঋণের জন্য বিভিন্ন উদ্ভাবনী উপায় তৈরি করা হয়েছে

এই পদ্ধতি দুটি ভাগে বিভক্ত:

i) সহজামানতের পরিবর্তে নিম্নলিখিত কৌশল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

. গ্রুপ গ্যারান্টি

. চারিত্রিক উৎকর্ষতার ভিত্তিতে ঋণ প্রদান

. ক্রেডিট অফিসার দ্বারা ঘন ঘন ব্যবসায় পরিদর্শন

. সামাজিকভাবে বিব্রত হওয়ার ঝুঁকি

. আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের ঝুঁকি

ii) সহজামানতের বিকল্প রূপ হিসেবে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত

              . বাধ্যতামূলক সঞ্চয়

              . ঋণের মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে সম্পদ বন্ধক রাখা

              . ব্যক্তিগত গ্যারান্টি

 

টার্গেট বাজার:

প্রতিটি সফল প্রতিষ্ঠান, তা  লাভের জন্য  হোক  বা অলাভজন্ক  হোক, তার  লক্ষ্য বাজার নির্ধারণ  করতে হবে  

টার্গেট মার্কেটের সঠিক শনাক্তকরণ  ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান তার পণ্য এবং পরিষেবাগুলি সঠিকভাবে ডিজাইন করতে পারে না বিশ্বব্যাংকের মাইক্রোফাইন্যান্স হ্যান্ডবুক অনুসারে, টার্গেট বাজার হল সম্ভাব্য গ্রাহকদের একটি গ্রুপ যারা নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যসমূহ অর্জন করে, অনুরূপ আচরণ করে এবং একটি নির্দিষ্ট পন্য বা সেবার  প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

AIBB Agriculture and Microfinance - Bangla Notes

Post a Comment

Post a Comment (0)